আমরা যেন কখনই খাবার নষ্ট না করি
একসময়, অনেক দূরে একটি দেশে, মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছিল। জায়গাটির নাম ছিল সুদান, আর সেই সময়টাকে বলা হয় দুর্ভিক্ষ। মানুষরা খাবার পাচ্ছিল না। ছোটো ছোটো শিশুরা খিদে পেয়ে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছিল।
একদিন, অস্ট্রেলিয়ার একজন ফটোগ্রাফার, নাম ছিল কেভিন কার্টার, তিনি একটি ছবি তুলেছিলেন। সেই ছবিতে দেখা যায়, একটি ছোট্ট শিশু মাটিতে বসে আছে। শিশুটি এতটাই দুর্বল ছিল যে তার চলার শক্তিও ছিল না। আর তার পেছনে একটি শকুন বসে ছিল। শকুনটি অপেক্ষা করছিল শিশুটি আর না উঠলে তার শরীর খেতে।
এই ছবি The New York Times-এ প্রকাশিত হলে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ১৯৯৪ সালে সেরা ফিচার ফটোগ্রাফির জন্য পুলিৎজার পুরস্কার জিতে নেয় ছবিটি। এই ছবি সবাইকে খুব ভাবিয়ে তুলেছিল। পুরো পৃথিবী ছবিটি দেখে খুব দুঃখ পেয়েছিল। আর কেভিন খুব দুঃখী হয়ে পড়েন। তিনি সব সময় ভাবতেন, "আমি শিশুটিকে কেন সাহায্য করতে পারিনি?" পুরস্কার জেতার ৪ মাসের মাথায় মাত্র ৩৩ বছর বয়সে সেই দুঃখ নিয়ে তিনি পরে আত্মহত্যা করেন।
কেভিন তার ডায়েরিতে লিখেছিলেন, "আমরা যেন কখনও খাবার নষ্ট না করি। আমরা যেন সব সময় অন্যদের কষ্ট বুঝি আর তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করি।"
এই গল্পটি আমাদের শেখায়, আমরা যেন আমাদের আশেপাশের মানুষদের কষ্টের দিকে খেয়াল করি, তাদের সাহায্য করি, আর কখনোই খাবার নষ্ট না করি।
0 মন্তব্যসমূহ